শিখে নিন ব্লগ বানানোর পদ্ধতি এবং অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করুন

0
গুগল ব্লগার হোমপেজ। একটি ছবি যেখানে ব্লগার ব্লগ বানানোর জন্য সাইন আপ করতে বলা হয়েছে।
ব্লগিং ডট কম এ ভিজিট করুন।
ছবি - গুগল ব্লগার হোমপেজ। 

ব্লগিং শুরু করার জন্য আপনি বেশ কিছু প্ল্যাটফর্ম পেয়ে যাবেন, যেমন WordPress, Blogger, Tumblr, এবং Medium । তবে আপনি যদি নতুন হন তাহলে আমি আপনাকে "গুগল ব্লগার" প্ল্যাটফর্ম এর উপদেশ দেব। কারণ অন্য প্ল্যাটফর্ম গুলি একটু জটিল ও অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়তে পারে। আসুন দেখে নিই ব্লগ বানাতে হলে কি কি করতে হবে।



ব্লগ হল অনলাইন টাকা ইনকাম করার এক মাধ্যম, ব্লগ এমন একটি জিনিষ যেখান থেকে আপনি আনলিমিটেড টাকা রোজগার করতে পারেন বাড়িতে বসে। দেখুন ব্লগ কিভাবে বানাতে হবে তার সাথে এও যেনে নিন কোন পধ্যতি অবলম্বন করলে আপনার ব্লগ খুব শিঘ্র রেঙ্ক করবে। একটি ব্লগ বানাতে চাইলে আপনাকে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে l একটি ব্লগ বানানো বেশ মজার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। 



একটি ব্লগ তৈরি করতে এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:


বিষয়/ Nich: ব্লগের বিষয় নির্বাচন করুন: ব্লগ হল একটা মাধ্যম যেখানে আপনার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সফলতার তথ্য ভাগ করে অন্যদের সাহায্য বা তথ্য প্রদান করা হয়। এখন আপনার ব্লগের বিষয় নির্বাচন করুন। আপনার ব্লগ নিচের প্রাথমিক বিষয়গুলির মধ্যে থেকে একটি নির্বাচন করতে পারেন: নিউজ রিপোর্টিং, গার্ডেনিং, কোনো কিছুর বিষয় গভীর ভাবে লেখা, ইত্যাদি।


আপনার ইচ্ছিত বিষয় বা আপনি কোন বিষয় বেশি পারদর্শী সেই সংক্রান্ত ব্লগের বিষয় নির্বাচন করুন।



ব্লগ একাউন্ট: ব্লগ এর বিষয় বা Nich নির্ধারণ করায় পর ব্লগার একাউন্ট খোলার সময়। ব্লগ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য লগইন করুন "blogger.com" হোম পেজ সম্পূর্ণ লোড হওয়ার পর "সাইন আপ" এর ওপর ক্লিক করুন। 


তার পর ব্লগের নাম নির্ধারণ করুণ: ব্লগ নামকরণ সম্পূর্ণ করার পর ব্লগ "ইউআরএল/URL" নির্ধারণ করুন। মনে রাখবেন আপনার ব্লগের নাম এমনটা হওয়া উচিত যে সেটা url এর সঙ্গে হুবহু মেলে। যাতে আপনার ব্লগ রেঙ্ক তাড়াতাড়ি হয় ও সহজেই গুগল সার্চ ইঞ্জিন আপনার ব্লগ কে রেজাল্ট হিসাবে দেখতে পারে।


উদাহরণ: "My First Blog" হলো আপনার ব্লগের নাম তাহলে url হওয়া উচিত myfirstblog.blogspot.com এই। ".blogspot.com" সাব ডোমেইন আপনি ফ্রীতে পেয়ে যাবেন।


আপনি চাইলে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন ও করতে পারেন। যেমন, .com, .in, .org, .info ইত্যাদি। সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রত্যেক বছর একটা অ্যামাউন্ট পেমেন্ট করতে হবে।



ব্লগ থিম নির্বাচন করুন: একটি "ব্লগ থিম/টেমপ্লেট" নির্বাচন করুন যা আপনার ব্লগের লেআউট, রঙ এবং স্টাইল নির্ধারিত করবে। আপনি প্রকৃত বস্তুর উপর ভিত্তি করে থিম নির্বাচন করতে পারেন, উদাহরণস্বরূপ একটি কিছু নিবন্ধ এবং বিভিন্ন ধরণের ছবি সহ একটি ব্লগিং থিম। আপনি ব্লগার এর নিজস্ব টেমপ্লেট বাবহার করতে পারেন তবে সেটা একটু ক্লাসিক স্টাইল হয় তার সাথে ফুটার ক্রেডিট blogger logo থেকে যায়।



ব্লগ সেটআপ করুন: নির্বাচিত ব্লগিং প্লাটফর্মে একটি ব্লগ সেটআপ করুন। এটি আপনার ব্লগের মৌলিক সেটিংস সম্পাদন করবে, যেমন ব্লগের নাম, বিবরণ, লোগো, এবং অন্যান্য সাধারণ বিন্যাস সম্পর্কিত।



ব্লগে লেখা শুরু করুন: এখন ব্লগে লেখা শুরু করুন। আপনার নির্বাচিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত লেখা লিখুন। লেখার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের লেখা ফরম্যাট ব্যবহার করতে পারেন, যেমন প্রবন্ধ, টিউটোরিয়াল, লিস্টিং এবং অন্যান্য। লেখার সময় বিচ্ছিন্ন সেটিংস, একটি আকর্ষণীয় বিষয় এবং সার্বিকতা মনে রাখুন। পোষ্টের টাইটেল, হেডিং, প্যারাগ্রাফ, ইত্যাদি।


ব্লগে ছবি এবং মাল্টিমিডিয়া যুক্ত করুন: ব্লগ সমৃদ্ধ করতে ছবি এবং মাল্টিমিডিয়া যুক্ত করুন। আপনি আপনার লেখা সম্পর্কিত ছবি, ইলাস্ট্রেশন, ভিডিও, অডিও বা অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ব্লগ সাম্রাজ্য এবং সাক্ষাতকারকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে।


ব্লগ পোস্ট লেখার পর আপনার ব্লগের লেআউট ব্যবহার করুন। ব্লগের লেআউট হল আপনার ব্লগের পৃষ্ঠার চেহারা, ডিজাইন, ফন্ট, রঙ এবং অন্যান্য আকর্ষনীয় গ্রাফিক সামগ্রী। এটি আপনার ব্লগের বৈশিষ্ট্যমত এবং পাঠকদের আকর্ষিত করবে। আপনি ব্লগের লেআউট ব্যবহার করে সেটিংগগুলি সংশোধন করতে পারেন যাতে আপনি একটি আকর্ষনীয় ব্লগের প্রদর্শনী তৈরি করতে পারেন।



বিভিন্নসামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন: আপনার ব্লগ লেখা শেষ হলে তা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন। আপনি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, ইউটিউব এবং অন্যান্য মাধ্যমে আপনার ব্লগ শেয়ার করতে পারেন। এটি আপনার ব্লগের প্রচার বা প্রচার বাড়ানোর জন্য মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যাবহার করুন।




ব্লগ বানানোর পর চেষ্টা করুন রেলেভেন্ট লোকজনদের কাছে আপনার পোস্ট শেয়ার করার। তাতে আপনার ব্লগটি শীঘ্রই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সুবিধা হবে। আই বিষয় আরো জানতে আপনি এই লিঙ্কটির ওপর ক্লিক করে আরো বেশি জানতে পারবেন।


কিছু প্রশ্ন থাকে থাকলে আপনি কমেন্ট বক্সে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)